
রোববার (২২ আগস্ট) রাতে সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর সঙ্গে বিভাগীয় কমিশনার সাইফুল হাসান বাদলের বৈঠক থেকে এর সমাধান আসে সম্প্রতি বরিশালে ইউএনও’র বাসভবনে হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট পরিস্থিতি বিষয়টি অবশেষে সমঝোতার মাধ্যমে শেষ হয়েছে।
এ সময় মেয়রের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারসহ বেশ কিছু বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। ভুল বোঝাবুঝি থেকে ওই ঘটনা হয়েছে বলে বৈঠকে আলোচকরা তুলে ধরেন। এ ধরনের ঘটনা আগামীতে যাতে না হয় সে বিষয়ে সতর্ক থাকার কথাও উঠে এসেছে।
।\ বৈঠকে পুলিশ কমিশনার শাহাবুদ্দিন খান বিপিএম, জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দিন হায়দার, সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ, জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মো. ইউনুস, মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি এডভোকেট এ কে এম জাহাঙ্গীর হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম জাহাঙ্গীর। তিনি বলেন, বিভাগীয় কমিশনারের বাসায় রাত ৯টার দিকে ওই বৈঠক হয়।
এদিকে সমঝোতা বৈঠকটি সফল হওয়ার খবর পেয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুনিবুর রহমান। তবে তার দাবি, তিনি সমঝোতা বৈঠকে ছিলেন না। এটা সিনিয়ররা করেছেন
। কী শর্তে সমঝোতা হয়েছে বা সমঝোতা পরবর্তী মামলা প্রত্যাহারে কোন শর্ত যুক্ত রয়েছে কি-না তা তিনি নিশ্চিত করেননি। বলেন, এ বিষয়ে জেলা বা বিভাগীয় প্রশাসনের তরফে আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞপ্তি দেয়া হবে।
এর আগে উপজেলা পরিষদ চত্বরে বুধবার রাতে শোক দিবসের ব্যানার খোলাকে কেন্দ্র করে ইউএনও মুনিবুর রহমানের বাসভবনে হামলা হয়। এ সময় সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ওপর আনসার সদস্যদের গুলি ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে। সংঘর্ষ হয় পুলিশের সঙ্গেও।
এতে মেয়র ও প্যানেল মেয়র রফিকুল ইসলাম খোকনসহ ৩০ জন আহত হন, যদিও আওয়ামী লীগের দাবি, আহতের সংখ্যা ৭০। এ ঘটনায় কোতোয়ালি মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ও ইউএনও মুনিবুর রহমানের করা দুই মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহকে।
মামলার মোট আসামি ৬০২ জন, তাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ২২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর আগে রোববার দুপুরে বরিশালের ঘটনা ভুল বোঝাবুঝি উল্লেখ করে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, শিগগিরই সমস্যার সমাধান হচ্ছে। অবশেষে রাতেই সেই সমাধান এলো