আবারও প্রধানমন্ত্রীর কাছে নিরাপত্তার আবেদন জানালেন চিত্রনায়িকা পরীমনি

প্রকাশিত: ৯:৫৩ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৬, ২০২১ | আপডেট: ৯:৫৩:অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৬, ২০২১

মেঘলা নিউজ ডেস্ক:  সম্প্রতি ঢাকাই সিনেমার ‘ডানাকাটা পরী’ খ্যাত চিত্রনায়িকা পরীমনি জামিনে মুক্তি পেয়ে বাসায় ফিরেছেন। তবে তিনি বাসায় ফেরার পরেও নিরাপদে নেই বলে দাবি করেছেন। তাই ফের প্রধানমন্ত্রীর কাছে নিরাপত্তা আবেদন জানালেন পরীমনি ।
সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন।

ফেসবুক স্ট্যাটাসে পরীমনি লিখেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা, আমাকে কি একটু নিরাপত্তা দিতে পারেন। রাস্তার মানুষগুলোও এত অনিরাপদ নয়। একবার একটু দেখেন না আমার দিকে, কি করে বেঁচে আছি।‘

তবে পরীমনি কী কারণে এ ধরনের স্ট্যাটাস দিয়েছেন সে বিষয়ে কিছুিই জানা যায়নি।

এর আগে ১৩ জুন ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে বলে এর প্রতিকার চেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে খোলা চিঠি পোস্ট করেন পরীমনি। সেই স্ট্যাটাসের সূত্র ধরে গ্রেপ্তার হন ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন আহমেদ। পরে তিনি জামিনে ছাড়া পান।

এদিকে ২৭ দিন আটক থাকার পর ১ সেপ্টেম্বর জামিনে ছাড়া পেয়েছেন পরীমনি। বর্তমানে বনানীতে নিজের বাড়িতেই অবস্থান করেছেন এই নায়িকা।

ওইদিন সকালে কাশিমপুর কারাগার থেকে বেরোনোর সময় পরীমনির হাতে মেহেদিতে লেখা একটি ইংরেজি বাক্য দৃষ্টি কাড়ে অনেকের। ‘ডোন্ট লাভ মি বিচ’। এটি একটি ইংরেজি গানের লাইন। লেখার নিচে এমন একটা প্রতীক, শোভন বাংলায় যার অর্থ ‘গোল্লায় যাও’। এই সব কথা ও প্রতীক দিয়ে আসলে কী বলতে চাইছেন পরীমনি?

এ বিষয়ে পরীমনি বলেন, এ বার্তা আমার চারপাশের দু’মুখো সাপগুলোর জন্য। যারা ভালোবাসা মুখে দেখায়, কিন্তু হৃদয়ে বিষ ধারণ করে। আমার বিশ্বাস, যাদের জন্য বলেছি, তারা ঠিকই টের পেয়েছেন। আমি আমার শত্রু-মিত্র চিনতে পেরেছি। সামনের দিনগুলোতে সতর্ক থাকবো।

গত ৪ আগস্ট বিকেলে পরীমনির বনানীর বাসায় অভিযান চালায় র‌্যাব। এ সময় তার বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দামি মদ, মদের বোতলসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়। ওই দিন রাত সোয়া ৮টার দিকে বনানীর বাসা থেকে পরীমনিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র‌্যাব সদর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়।

পরে তার বিরুদ্ধে বনানী থানায় মাদক মামলা করা হয়। ওই মামলায় গত ৫ আগস্ট পরীমনিকে চার দিন ও ১০ আগস্ট দ্বিতীয় দফায় দুদিনের রিমান্ডে পাঠান আদালত।

পরে ১৩ আগস্ট পরীমনির জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ধীমান চন্দ্র মণ্ডল। আদালতের আদেশে ওই দিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে প্রিজনভ্যানে করে পরীমনিকে কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।

এর পর ওই কারাগার থেকে গত ১৯ আগস্ট তৃতীয় দফায় পরীমনিকে একদিনের রিমান্ডে ঢাকায় নেওয়া হয়। রিমান্ড শেষে ২১ আগস্ট পুনরায় পরীমনিকে কারাগারে পাঠানো হয়।

বিজ্ঞাপন
Add Custom Banar 2
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।

Medical add