
নিজস্ব প্রতিবেক:: মো. সুজন মিয়া (৪০)। বেশ কিছুদিন ধরে বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই ব্যক্তি নিজেকে মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া) আসনের সাংসদ সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ বলে পরিয়য় দিয়ে প্রতারণা করে আসছিলেন ।
কিন্তু তিনি রেলওয়েতে ওয়েম্যান হিসাবে কাজ করেন। তার বাড়ি সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার সদরঘর এলাকায়। সাম্প্রতি একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে তার এই প্রতারণার বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসে এবং গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে সিলেট রেল স্টেশন এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সুজন সম্প্রতি চট্টগ্রামে অবস্থিত রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের প্রধান যন্ত্র প্রকৌশলী বোরহান উদ্দিনকে মুঠোফোনে কল দেন। এ সময় তিনি নিজেকে সাংসদ সুলতান মনসুর পরিচয় দিয়ে অস্থায়ী ভিত্তিতে দুজন লোককে ওই দপ্তরে নিয়োগ দিতে বলেন। একপর্যায়ে সুজন মুঠোফোনে দুই চাকরিপ্রার্থীর নাম-ঠিকানা উল্লেখ করে তার কাছে খুদে বার্তা পাঠান। এরপর ওই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার পরামর্শ অনুযায়ী দুই প্রার্থীকে দিয়ে তার বরাবর লিখিত আবেদনও পাঠানো হয়। আবেদন পাওয়ার পর সেখানে সাংসদের সুপারিশ না থাকায় রেলওয়ের কর্মকর্তার সন্দেহ হয়। এরপর তিনি সাংসদের ব্যক্তিগত মুঠোফোন নম্বর সংগ্রহ করে তার সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় সুজনের প্রতারণার বিষয়টি ধরা পড়ে। পরে সাংসদের পরামর্শে ওই কর্মকর্তা চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
কুলাউড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম বলেন, সাংসদ সুলতান মনসুরের নাম ভাঙিয়ে সুজন তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সুজন জানিয়েছেন, তিনি চাকরি দেওয়ার কথা বলে দুই চাকরিপ্রার্থীর কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। তাকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে মৌলভীবাজারের আদালতে পাঠানো হয়েছে। তবে রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট কোনো কর্মকর্তা এ ব্যাপারে মামলা করলে ওই মামলায় তাকে পরে গ্রেপ্তার দেখানো যাবে।