কনাইঘাটে চার সন্তানের জননীকে যৌন হেনস্তার দায়ে আটক ২

প্রকাশিত: ৬:৪৭ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২১ | আপডেট: ৬:৪৭:অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২১

কানাইঘাট সংবাদদাতা : চাঁদার জন্য সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার আগতালুক গ্রামের পঞ্চাশোর্ধ্ব চার সন্তানের এক জননীকে যৌন হেনস্তা ও শ্লীলতাহানি করে ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় দুই আসামিকে আটক করেছে কানাইঘাট থানার পুলিশ।

আটককৃতরা হলেন- আগতালুক গ্রামের বরকত উল্লার পুত্র বড় আব্দুল্লাহ (৩৫), একই গ্রামের রফিক আহমদের পুত্র সায়েদ উল্লাহ (৩০)।

বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জৈন্তাপুর উপজেলার হরিপুর এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করে কানাইঘাট থানা পুলিশ।

কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সকালে তাদেরকে গ্রেপ্তারের পর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। দুইজনের রিমান্ড চাওয়া হবে।

এর আগে গত ২৩ আগস্ট রাতে যৌন হেনেস্তা ও শ্লীলতাহানির ঘটনাটি ঘটলে সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকালে বেনামি একাধিক আইডি থেকে সাড়ে ৪ মিনিটের ওই ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়া হয়।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও থেকে দেখা যায়, চারজন যুবক একজন মধ্যবয়স্কা নারীকে টানাহেঁচড়া করছেন। এসময় মধ্যবয়স্ক ওই নারী নিজেকে মুক্ত করতে বার বার হাত জোড় করে আকুতি করছেন। কান্নাকাটি করে অনুনয় করছেন। তবে তার অনুনয়ে হাসি ঠাট্টা করছেন চার যুবক।

এ ঘটনায় সোমবার রাতে ওই নারী বাদী হয়ে কানাইঘাট থানায় চারজনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ও পর্নোগ্রাফী আইনে মামলা দায়ের করেছেন। মামলার আসামিরা হলেন- একই গ্রামের, আব্দুল্লাহ (৩৮), আব্দুল্লাহ (২৭), জব্বার (২২), সাইদুল্লাহ (২৭)।

কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম জানান, ওই নারীর স্বামী মারা গেছেন। তার চার সন্তানের মধ্যে দুই ছেলে দুবাই প্রবাসী, আর দুই মেয়েকে বিয়ে দিয়ে দিয়েছেন। বাড়িতে থাকতেন একা। এ সুযোগে ওই নারীর উপর ভয়ঙ্কর নির্যাতন চালায় প্রতিবেশী চার যুবক।

রাতে ঘরের দরজা ভেঙ্গে প্রবেশ করে তার শ্লীলতাহানি করে ভিডিও ধারণ করে সেই ভিডিও প্রবাসী ছেলেদের কাছে পাঠিয়ে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে তারা। মূলত ছেলেদের কাছ থেকে টাকা নিতেই তারা এটা করেছে।

বিজ্ঞাপন
Add Custom Banar 2
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।

Medical add