
মেঘলা নিউজ ডেস্ক: মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় খাসিয়া কর্তৃক সামাজিক বনায়নে হামলা, উপকারভোগীদের মামলা দিয়ে হয়রানি ও জবরদখলকৃত সংরক্ষিত বনাঞ্চল দখলমুক্ত করার দাবিতে শুক্রবার ৩ সেপ্টেম্বর সকালে স্থানীয় হায়দরগঞ্জবাজারে এক বিশাল বিক্ষোভ সমাবেশ ও মাবনবন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে কর্মধা ইউনিয়নের সর্বস্তরের মানুষ।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, খাসিয়াদের একটি সংঘবদ্ধ চক্র পানজুমের নামে সংরক্ষিত বনাঞ্চলের লাখ লাখ লাখ টাকায় ভূমি বেচাকেনা করছে। অবিলম্বে এসব বন্ধ না করলে বাঁশমহাল, গাছমহাল কিংবা বন্যপ্রাণী কিছুই থাকবে না বনে। এমনকি সংরক্ষিত বনাঞ্চল (ডিপ ফরেস্ট) বলতে আর কিছু থাকবে না। খাসিয়ারা গোটা বনাঞ্চল তাদের দখলে নিতে চায়। নিজেরা পান কেটে সামাজিক বনায়নের উপকারভোগীদের নামে মামলা দেয়। সংশ্লিষ্ট বনকর্মকর্তার বদলী দাবি করে। খাসিয়াদের নেতৃত্বদানকারী বাবলী তালাং, সিলভেস্টার পাঠাং ও হেনরি তালাং টু খাসিয়াকে আটক করলে সংরক্ষিত বন জবরদখল বন্ধ হয়ে যাবে।
বক্তারা বলেন, সাম্প্রতিক সৃষ্ট বিরোধ নিয়ে প্রশাসন উভয়পক্ষকে নিয়ে বসে একটি দিক নির্দেশনা দেয়। কিন্তু সেই নির্দেশনা অমান্য করে গোটা সিলেট বিভাগ থেকে ভাড়া করা লোক দিয়ে মানববন্ধন করে নিরীহ উপকারভোগীদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করেছে। খাসিয়ারা এখনও সামাজিক বনায়নের সৃজিত বাগানের সেই জায়গা তাদের জবরদখলে রেখেছে। উপকারভোগীরা সরকারের সামাজিক বনায়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজ করে। কিন্তু প্রশাসন সেই সরকারি কাজে অংশগ্রহণকারীদের বিরুদ্ধে মামলা নিয়ে হয়রানি করে।
এছাড়া অবিলম্বে মুরইছড়া ইকোপার্ক বাস্তবায়নেরও জোর দাবি জানান বক্তারা। মুরইছড়া ইকোপার্ক বাস্তবায়ন হলে এবং খাসিয়াদের জবরদখল বন্ধ হলে সরকার বাঁশমহাল, গাছমহাল থেকে বছরে কোটি কোটি রাজস্ব আয় হবে।
মানববন্ধন শেষে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন হারিছ আলী, সৈয়দ আব্দুল বাছিত, ইছরাইল আলী, মো. রফিক আলী, আছকির আলী, ফারুক মিয়া প্রমুখ।মানববন্ধন শেষে এক বিক্ষোভ মিছিল স্থানীয় হায়দরগঞ্জ বাজার প্রদক্ষিণ করে।