
শনিবার সকালে দূতাবাসের মাল্টিপারপাস হলে মতবিনিময় সভায় বিশেষ অনুমতি (লামানা) নিয়ে ভিসা ইস্যু প্রথা বাতিল করা, বাংলাদেশিদের আকামা নবায়নে প্রতি বছরে ফিঙ্গার প্রিন্টে ভোগান্তি বন্ধ করা, প্রবাসী বাংলাদেশিদের ফ্যামিলি ভিসা/পরিবারের সদস্যদের ভ্রমণ ভিসা অন্য দেশের মতো সহজ ও উন্মুক্তকরণ নিয়ে আলোচনা করা হয়।
কুয়েত প্রবাসী বাংলাদেশিদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিভিন্ন সমস্যা ও তার প্রতিকার নিয়ে প্রবাসীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশিকুজ্জামান।
ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, নার্স, শিক্ষকসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে দক্ষ পেশাজীবীদের কুয়েতের ভিসার সুযোগ সৃষ্টি, বিনামূল্যে ভিসা ও অসাধু ভিসা ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য বন্ধসহ বেশ কিছু বিষয়ে উপস্থিত প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটির নেতারা রাষ্ট্রদূতের কাছে দাবি জানান।
রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশিকুজ্জামান প্রবাসীদের বিভিন্ন দাবি দাওয়াগুলো স্থানীয় প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে এসব বিষয়ে সমাধানের যথাসাধ্য চেষ্টা করবেন বলে জানান।
মতবিনিময় সভায় দূতাবাসের কাউন্সেলর শ্রম মোহাম্মদ আবুল হোসেন, প্রথম সচিব মো. ইকবাল আখতার, প্রথম সচিব ও দূতালয় প্রধান নিয়াজ মোর্শেদসহ বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
করোনা মহামারির ক্ষতি কাটিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে শুরু করেছে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম ধনী দেশ কুয়েত। করোনার প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে বাংলাদেশসহ বেশ কিছু দেশকে করোনা সংক্রমণের ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ’ দেশের তালিকায় রেখেছিল কুয়েত। সেসব দেশের সঙ্গে সরাসরি ফ্লাইট বন্ধ এবং দেশটিতে দীর্ঘদিন লকডাউন থাকার কারণে অনেক প্রবাসী কর্মহীন হয়ে দেশে চলে গেছেন। আবার অনেকে কর্মস্থলে ফিরতে পারেননি সরাসরি ফ্লাইট বন্ধ থাকার কারণে। স্বাভাবিক জীবনে ফেরার সঙ্গে সঙ্গে খুলে দেওয়া হয়েছে সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, শীঘ্রই খুলে দেওয়া হবে স্কুল-কলেজ। এর ফলে বিভিন্ন সেক্টরে দেশটিতে কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়ছে। শুধু শ্রমিক নয় বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে দক্ষ পেশাজীবীদের কর্মসংস্থানের সুযোগও ক্রমান্বয়ে সৃষ্টি হচ্ছে