
মেঘলা নিউজ ডেস্ক: খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আফ্রিকা মহাদেশে কন্ট্রাক্ট ফার্মিং তথা চুক্তিভিত্তিক খামার করার চিন্তা করছে সরকার। এ নিয়ে উদ্যোগী হয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘চুক্তিভিত্তিক খামারের বিষয়টিকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে নির্দেশনা এসেছে। এর জন্য আমরা নানামুখী পদক্ষেপ নেবো। এখন পর্যন্ত চিন্তাভাবনার পর্যায়ে আছে। ধারাবাহিকভাবে এগোতে চাচ্ছি।’
কন্ট্রাক্ট ফার্মিং কী?
কন্ট্রাক্ট ফার্মিং বা চুক্তিভিত্তিক খামার হলো কৃষক ও ক্রেতার মধ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি। এতে ক্রেতা ঠিক করে দিতে পারেন, কৃষক কোন ফসল ফলাবেন ও কতটা মান বজায় রাখতে হবে। এক্ষেত্রে ক্রেতাই পুরো বিনিয়োগ করতে পারেন। আবার কৃষকের সঙ্গে মুনাফা ভাগের চুক্তিও হতে পারে।
এ ছাড়া খামারের মোট উৎপাদনের একটি নির্দিষ্ট অংশ কেনার চুক্তিও করতে পারেন ক্রেতা। উৎপাদনে কোনও সমস্যা হলে কে দায় নেবে, পণ্য পৌঁছানো কার দায়িত্বে থাকবে এসব বিষয়েও বিস্তারিত উল্লেখ থাকে চুক্তিতে। সাধারণত প্রধান কিছু ফসল যেমন ধান, গম, ভুট্টা ইত্যাদির ক্ষেত্রে কন্ট্রাক্ট ফার্মিং হয়ে থাকে।
নানামুখী পদক্ষেপ
কন্ট্রাক্ট ফার্মিং-এর জন্য শুধু বিদেশে জমি ও অন্যান্য ব্যবস্থাই নয়, দেশের অভ্যন্তরীণ কিছু নিয়মনীতিতেও পরিবর্তন আনার দরকার আছে। এমনটা জানিয়ে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘কাজটি বিডা (বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি) শুরু করেছে। কারণ এখানে বিদেশি বিনিয়োগের বিষয় আছে। দেশ থেকে ডলার নিয়ে যেতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গেও কাজ করতে হবে।’
দ্বিতীয়ত- উদ্যোক্তাদের খুঁজে বের করা তাদের তৈরি করার বিষয়ও আছে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘আফ্রিকায় আমাদের যে দূতাবাসগুলো আছে সেখান থেকে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত নিয়ে ওইসব দেশের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তির প্রয়োজন আছে।
মাঠপর্যায়ে চুক্তি অর্থাৎ একটি কোম্পানি আরেকটি দেশে গিয়ে কীভাবে কাজ করবে সেটার পাশাপাশি বড় পরিসরে দুই দেশের মধ্যেও চুক্তির প্রয়োজন হবে বলে তিনি জানান।
গোটা বিষয়টাকে বাস্তব রূপ দিতে একটি বিজনেস মডেল তৈরি করতে হবে। কে, কীভাবে, কতটা বিনিয়োগ করবে এবং মুনাফা কিভাবে দেশে নিয়ে আসতে হবে সেটাও বিবেচনায় নিতে হবে।’
পররাষ্ট্র সচিব আরও বলেন, ‘মুখে যাই বলা হোক না কেন কাজটা ভেঙে ভেঙে দেখলে জটিলতা বোঝা যায়।