
গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি: গোলাপগঞ্জে পৌর আওয়ামী লীগ নেতা ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ইমরুল হানিফের নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ঢুকে সন্ত্রাসী হামলা ও লুটপাটের ঘটনার এক মাস পেরিয়ে গেলেও জড়িত কাউকে এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ইমরুল হানিফের ছোট ভাই তুফায়েল হানিফ ৬ জনের নাম অভিযুক্ত করে এবং অজ্ঞাত আরো ৪/৫ জনকে আসামী করে (মামলা নং-২৭/২৬৩, তারিখ-২৪-০৯-২০২১ইং) দায়ের করেন। এর পর থেকে বিভিন্ন মোবাইল নাম্বার দিয়ে মামলার বাদী ও স্বাক্ষীদের বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগে করেন মামলার বাদী তুফায়েল হানিফ। এ জন্য তিনি গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরীও (জিডি নং-১৪৯, ৩-১০-২০২১ইং) করেছি।
তুফায়েল হানিফ আরো অভিযোগ করে বলেন, ঘটনার এক মাস অতিবাহিত হয়েছে। প্রকাশ্যে আসামীরা ঘোরাফেরা করলেও অজ্ঞাত কারণে তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছেনা। আসামীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা চলমান রয়েছে বলেও জানান তিনি। এখন তিনি পঙ্গু অবস্থায় বিছানায় শুয়ে রয়েছেন।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা, গোলাপগঞ্জ মডেল থানার সাব ইন্সপেক্টর একলাছ মিয়া বলেন, আসামীরা বিভিন্ন জায়গায় পালিয়ে রয়েছে। তারপরও পুলিশ আসামীদের গ্রেপ্তার করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছে।
জানা যায়, গত ২১ সেপ্টেম্বর দুপুর ১টার দিকে পৌর এলাকার দাড়িপাতন গ্রামের নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান (দাড়িপাতন ফিশারী এন্ড হ্যাচারী) মাছের খামারে ঢুকে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রসহ আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে এ হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। এলোপাতাড়ি হামলার পর রক্তাক্ত জখম করে তাকে মৃত ভেবে ফেলে দেয়া হয় পুকুরে। এতে তার পা ও হাত ভেঙ্গে গেছে এবং শরীরের বেশ কিছু জায়গায় দায়ের কোপের আঘাত রয়েছে।
সন্ত্রাসী হামলার পর গুরুতর আহত অবস্থায় তাৎক্ষণিক এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। দুই দিন হাসপাতালে চিকিৎসার পর তার অবস্থার কোন উন্নতি না হওয়ায় তাকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এরপর আবারো সিলেটের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানে দুটি অপারেশন করে ডাক্তারের পরামর্শে বর্তমানে তিনি বাড়িতে রয়েছেন।