
নিজস্ব প্রতিবেদক : সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার বাঘা ইউনিয়নের কালাকুনা রামগঞ্জ গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে হামলার ঘটনায় ৫ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গত (৫ আগস্ট) বৃহস্পতিবার বেলা ২ টার দিকে জহুর উদ্দিন উরফে তনু মিয়ার বাড়ীর সীমানায় জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
গোলাপগঞ্জ উপজেলার বাঘা ইউনিয়নের কালাকুনা রামগঞ্জ গ্রামের জহুর উদ্দিন উরফে তনু মিয়ার ছেলে জাহেদুল হক (৩৫) বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে ও ৫/৬ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নং-(১১/২১৮), তারিখঃ ০৮/০৮/২০২১ ইংরেজি।
মামলার আসামীরা হলেন, একই উপজেলার বাঘা ইউনিয়নের কালাকুনা রামগঞ্জ গ্রামের আব্দুল হান্নানের ছেলে রাহিন আহমদ (২৫), একই গ্রামের মৃত হাজী হাছন আলীর ছেলে আব্দুল হান্নান (৫৫), আব্দুল কাইয়ূম (৪২), চাঁদ উদ্দিন (৫৮), ও আব্দুল কুদ্দুস (৫০)।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, বাঘা ইউনিয়নের কালাকুনা রামগঞ্জ গ্রামের বাসিন্দা জহুর উদ্দিন উরফে তনু মিয়া ও একই গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল হান্নান গংদের সাথে জমিজমা ও বাড়ীর সীমানা নিয়ে দীর্ঘদিন পূর্ব হইতে বিরোধ চলেছিল। বিষয়টি নিষ্পত্তির লক্ষ্যে এলাকার মুরব্বিগণ সমাধানের চেষ্টা করেন। কিন্তুু আসামীগণ সালিশ বিচারকে উপেক্ষ্য করে বাদীর পিতার বাড়ীর সীমানার ভূমি দখল করার চেষ্টা করে আসামীরা।
ঘটনার তারিখ ও সময়ে মামলার বাদী নিজে তাহাদের বাড়ীর সীমানায় ঝোপজঙ্গল ও আগাছা পরিষ্কার করতে যান। আগাছা পরিষ্কার কালীন সময়ে উল্লেখিত আসামীগণ দেশীয় অস্ত্র দা ছুলফি (টেটা) লোহার পাইপ ও লাঠিসোঁটা ইত্যাদি নিয়ে বাদীর বাড়ীর সীমানায় অনধিকার প্রবেশ করিয়া জাহেদুল হকের উপর অর্তকিত হামলা চালায়।
এ সময় তাহার চিৎকারে তার বড় ভাই নুরুল হক ও চাচা শাহানুর উদ্দিন হামলায় আহত জাহেদুল হককে রক্ষা করতে চেষ্টা করেন। এসময় আসামীরা তাদের উপরও হামলা করে আহত করে। পরে তাদের চিৎকারে বাদীর পিতাসহ আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে আহতদের উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় অফিসার ইনচার্জ হারুনুর রশীদ চৌধুরী জানান, বাঘার কালাকুনা রামগঞ্জ গ্রামের সংঘর্ষের ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত আছে।