জিয়াউর রহমানের লাশ কফিনে ছিল না: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত: ৯:১৭ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৯, ২০২১ | আপডেট: ৯:১৭:অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৯, ২০২১
ওবায়দুল কাদের

জিয়াউর রহমানের কফিনে তার লাশ ছিল না উল্লেখ করে সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি। ফখরুল সাহেব (মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর) আজও জবাব দিলেন হাজার হাজার লোক জানাজা পড়েছেন।

হাজার হাজার মানুষের জানাজা পড়া আর কফিনে জিয়াউর রহমানের লাশ থাকা কি এক কথা। মানুষ তো নিহত রাষ্ট্রপতির জানাজা পড়তে এসেছেন, সেই কফিনে যে রাষ্ট্রপতি নেই, লাশ নেই, সেটা তো আর মানুষ জানত না।

জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত সেমিনারে সেতুমন্ত্রী এ কথা বলেন। তিনি বলেন, আমি লাশ নিয়ে বিতর্ক করতে চাই না; কিন্তু এটাই সত্য, পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউল হকের জানাজায় এর চেয়েও বেশি লোক হয়েছে।

কিন্তু ওই কফিনেও জিয়াউল হক নেই, এই কফিনেও জিয়াউর রহমান নেই।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ কে আজাদের সভাপতিত্বে ‘বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড’ শীর্ষক এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

এতে বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডক্টর মো. আখতারুজ্জামান, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ডক্টর রহমতুল্লাহ, অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোল্লা মোহাম্মদ আবু কাওছার, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু।

সেতুমন্ত্রী বলেন, সিরাজউদ্দৌলাকে যারা হত্যা করেছিল, তাদের একজনেরও স্বাভাবিক মৃত্যু হয়নি। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে যে বুলেট, সেই বুলেটেই জেনারেল জিয়াউর রহমানকেও চলে যেতে হয়েছে।

তিনি বলেন, ১৫ আগস্টের হত্যাকারীকে কে আশ্রয় দিয়েছে, কে প্রশ্রয় দিয়েছে, কে নিরাপদে বিদেশে যাওয়ার সুযোগ দিয়েছে, কে পুনর্বাসন করেছে, কে পুরস্কৃত করেছে, কে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করেছে, কে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানের অন্তর্ভুক্ত করেছে।

ইনডেমনিটি মোশতাক দিয়েছে, বাকি কাজ কে করেছে। করেছে জিয়াউর রহমান।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ১২ বছর আগের বাংলাদেশ আর আজকের বাংলাদেশ মিলিয়ে দেখুন। আজ বাংলাদেশে মেট্রোরেল হচ্ছে, পদ্মা সেতু প্রায় হয়ে গেছে, সারা দেশে এত উড়াল সেতু, এলিভেটেট এক্সপ্রেসওয়ে কীভাবে হচ্ছে।

এগুলো যারা সহ্য করতে পারছে না, তারাই আজ জনসমর্থন না পেয়ে ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছে। ষড়যন্ত্রের চোরাগলি দিয়ে তারা ক্ষমতায় যেতে চায়। বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয়েছে, এখন বঙ্গবন্ধুকন্যার বিরুদ্ধেও ষড়যন্ত্র চলছে।

একাত্তরের পরাজয়, পঁচাত্তরের পরাজয়ের প্রতিশোধ তারা নিতে চায়। সেজন্য জাতীয় স্বার্থে আমাদের ষড়যন্ত্র রুখতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে এ কে আজাদ বলেন, আজকের সেমিনারে অনেক নতুন নতুন তথ্য বেরিয়ে এসেছে, সেটা আগে আমাদের কাছে স্পষ্ট ছিল না। বিশেষ করে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে জিয়াউর রহমানের যে প্রত্যক্ষ ভূমিকা ছিল, সেটি কিন্তু এত স্পষ্ট ছিল না, সেটি আস্তে আস্তে জনসম্মুখে বেরিয়ে আসছে।

আমি মনে করি, রাষ্ট্রীয়ভাবে একটি কমিশন গঠন করা উচিত বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড তদন্তের জন্য এবং বর্তমানেও যে ষড়যন্ত্র চলছে এর তদন্ত করার জন্য।

সূত্ত;যুগান্তর

বিজ্ঞাপন
Add Custom Banar 2
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।

Medical add