দক্ষিণ সুরমায় ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারে সেবার নামে ভোগান্তি

প্রকাশিত: ৭:৪৪ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৩, ২০২১ | আপডেট: ৭:৪৪:অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৩, ২০২১

মেগলা নিউজ ডেস্ক: সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারে সেবার নামে চরম ভোগান্তি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। প্রতিনিয়ত জনসাধারন ইউনিয়নে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়ছেন। ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদোক্তারা অনিয়মে জড়িয়ে পড়েছে।

তারা টাকার বিনিয়মে জন্মনিবন্ধন, ডেথ সার্টিফিকেট ও নতুন আইডি কার্ডের আবেদনে তারা প্যাকেজ করে টাকা নিচ্ছে।

বিভিন্ন জনের সংশোধনী ও আবেদনের ফরম টাকা না দিলে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের উদোক্তা ও সংশ্লিষ্টদের হাতে থেকে যায়। টাকা না পেলে তারা আবেদনগুলো স্থানীয় উপজেলায় প্রেরণ করেন না বলে বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। এতে চরম ভাবে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারন জনগন।

জানা যায়, পূর্বে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার তাদের নিজস্ব পার্সওয়াড ব্যবহার করে বিভিন্ন কাজ করতে পারতো। এখন সেই সুযোগ না থাকায় তারা কাগজপত্র রেখে দেয়। ইউনিয়নের সংশোধন ও আবেদনগুলো উপজেলা নির্বাহীর কাছে চলে যাওয়ায় তারা কাজ করতে পারছেন না।

কবে যে এই ভোগান্তি শেষ হবে সেটা জানেন না ইউনিয়নের উদ্যোক্তা ও সাধারণ জনগন। দক্ষিণ সুরমার ১০টি ইউনিয়নে উদোক্তারা একি অবস্থায় কাজ করছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দক্ষিণ সুরমার এক উদোক্তা জানান, ঢাকায় স্থানীয় সরকার বিভাগের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন শাখার বিভিন্ন জনকে টাকা প্রেরণ করলে তারা সহজে কাজ করে দেয়। যারা টাকা দেয় না, তাদেরকে অপেক্ষারত করে রাখে।

তেতলী ইউনিয়ন পরিষদের আসা ভুক্তভোগী ইমরান জানান, বিগত কয়েক মাস যাবত একটি জননিবন্ধনের সংশোধনের আবেদন করেছিলাম। কিন্তু প্রতিনিয়ত ইউনিয়নে আসলে কোন সঠিক সুরাহা পাচ্ছি না। সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বললে তারা বলে অপেক্ষা করতে।

ভুক্তভোগী তেতলী ইউনিয়নের বলদী গ্রামের রিয়াদ আহমদ বলেন, দীর্ঘদিন অপেক্ষা করেও জন্মনিবন্ধনে জন্মতারিখের সংশোধন করা হচ্ছেনা। ইউনিয়ন আসলে তারা বলেন উপজেলা যেতে। প্রকৃত পক্ষে জন্মনিবন্ধনে ভুলগুলো ইউনিয়নে যারা নিবন্ধন করেছিল তারা করেছে। কিন্তু এখন আমাদের দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

দক্ষিণ সুরমা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল হক জানান, সংশোধনে অনলাইনে আবেদনগুলো সঠিক ভাবে বাছাইপূর্বক সংশোধন করে দেয়া হচ্ছে। আমরা প্রতিনিয়ত জনসাধারনের কাজ দ্রুত সময়ে মধ্যে সংশোধনের চেষ্টা করছি।

এ ব্যাপারে স্থানীয় সরকার বিভাগের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন প্রোগ্রামার রেজিষ্টার ফাহমিদা শিরিনের সাথে একাদিক বার যোগাযোগ করতে মোবাইলে নাম্বারে ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

বিজ্ঞাপন
Add Custom Banar 2
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।

Medical add