
মেঘলা নিউজ ডেস্ক: দুই পক্ষের সংঘর্ষে গত ৩০ জুলাই গ্রামে দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত হওয়ার পর বাড়িঘরে হামলার ঘটনা ঘটছে।
বাড়িঘরে হামলা করে মালপত্র লুট করা হয়েছে। গত রোববার ঝিনাইদহ সদর উপজেলার গোয়ালপাড়া পুটিয়া গ্রামে।
বাড়িঘরের দরজা-জানালা ভাঙা। আসবাবও ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ভয়ে লোকজন বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার গোয়ালপাড়া-পুটিয়া গ্রামে গত এক মাসে অন্তত ১৭টি বাড়িতে প্রতিপক্ষের হামলার ঘটনা ঘটেছে। গ্রামের অন্তত ৭০টি পরিবার গ্রামছাড়া। প্রায় এক মাস তাঁরা বাড়িতে ফিরতে পারছেন না।
সর্বশেষ গত ২৯ আগস্ট বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গোয়ালপাড়া-পুটিয়া গ্রামের মসজিদে নামাজের সময় আকামত দেওয়া নিয়ে ২৯ জুলাই দুই পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। পরদিন সকালে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে গ্রামের বাসিন্দা মোদাচ্ছের হোসেন গুরুতর আহত হন। পরে তাঁর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় তাঁর স্ত্রী মঞ্জুরা বেগম বাদী হয়ে ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এতে ১৯ জনকে আসামি করা হয়েছে। এঁদের মধ্যে ১২ জন বর্তমানে কারাগারে।
গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গ্রামে দুটি পক্ষ রয়েছে। একটি পক্ষের নেতৃত্ব দেন আবু জাফর মোল্লা। অপর পক্ষে রয়েছেন ইবনে মিলন। নিহত মোদাচ্ছের হোসেন হলেন ইবনে মিলনের পক্ষের।
গ্রামের বাসিন্দা রজব আলীর বাড়িতে ভাঙচুর করা হয়েছে। তবে তিনি ওই হত্যা মামলার আসামি নন। গ্রামের দলাদলি জড়িত নই দাবি করে রজব আলী বলেন, হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া ১২ জন এখন কারাগারে। এরপরও অন্যদের বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট করা হচ্ছে। যাঁরা ওই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত, তাঁদের আইন অনুযায়ী বিচার হবে। কিন্তু গ্রামের এমটি মহল হত্যাকাণ্ডকে পুঁজি করে গোটা গ্রামে অশান্তি সৃষ্টি করছে।
এ বিষয়ে জানতে ইবনে মিলনের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ধরেননি। তবে ইবনে মিলনের পক্ষের কয়েকজন দাবি করেন, যাঁরা গ্রাম ছেড়েছেন, তাঁরা বিরোধে জড়িত। এ কারণে ভয়ে তাঁরা বাড়ি ছেড়েছেন। ওই হত্যাকাণ্ডের পর উত্তেজিত জনতা কিছু বাড়ি ভাঙচুর করেছে।
ঝিনাইদহ সদর থানার শেখ মোহাম্মদ সোহেল রানা বলেন, গ্রামবাসী যাতে বাড়িতে আসতে পারে, সে বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এলাকায় সভা করা হয়েছে। এরপরও কেউ বাড়ি না ফিরলে অবশ্যই পদক্ষেপ নেওয়া হবে।