
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, বিদ্যালয়ের দুটি ভবন রয়েছে ইংরেজি এল অক্ষরের আকৃতিতে। বর্তমানে আকাশি রঙের একতলা ভবনের একেবারে কাছাকাছি চলে এসেছে নদী। এলাকাবাসী বাঁশের বেড়া দিয়ে ভবনটি রক্ষা করার চেষ্টা করছেন। ভবনের ভেতরে রয়েছে বেঞ্চসহ অন্যান্য আসবাব। করোনাকালে বিদ্যালয় ছুটি থাকায় এগুলো সরানো যায়নি বলে জানা গেছে।
স্থানীয় আমিনুল ইসলাম বলেন, বাগজান গ্রামটি বড়। লোকসংখ্যা প্রায় দুই হাজার। শুধু বাগজান নয়, পাশের কুটুরিকোনা, পরশখিলা, পাহাড়পুরসহ চার গ্রামের শিশুরা এই বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করে। আশপাশে আর কোনো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নেই। বিদ্যালয়টি রক্ষার জন্য তাঁরা কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানান।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান বলেন, নদীভাঙনে বিদ্যালয় ভবন হুমকির মুখে পড়ায় প্রয়োজনীয় কিছু কাগজপত্র সরিয়ে রাখা হয়েছে। তবে আসবাব রয়ে গেছে। বিদ্যালয়টি রক্ষার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত আবেদন করা হয়েছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ওবায়দুল্লাহ বলেন, তিনি বিষয়টি নিয়ে পাউবোসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে কথা বলেছেন। আশা করা যাচ্ছে, দ্রুত এর সমাধান মিলবে