
নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সিলেট জেলা ইউনিটের উদ্যোগে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২৫ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টায় উপশহরস্থ মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভা শেষে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে জাতীয় পতাকা ও মুক্তিযোদ্ধা পতাকা উত্তোলন করা হয়।
সিলেট জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সুব্রত চক্রবর্তী জুয়েলের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সুবল চন্দ্র পাল, জকিগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা খলিল উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদির, বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল কামাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. কামাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিক উদ্দিন আহমদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজিম উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আকমল আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা রইছ আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিদ্দিক আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা কুটি মিয়া।
উপস্থিত ছিলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সোনা মিয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদ, মনোজ কপালী মিন্টু। মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মো. ইমরান খান (রায়হান), মো. নাছিম খান, মো. আল মিনহাজ, প্রীয়াংকা রায়, মো. জুয়েল খান, মো. সাইদুল রহমান, মো. আজিজুল ইসলাম, মো. ফারুক আহমদ, মো. দিলোয়ার হোসেন, মো. আমজাদ হোসেন, মো. হেলাল আহমদ, সাহিদা আক্তার সাথী, মাওলানা আব্দুর রহিম, সাইফুল ইসলাম, জিয়াউর রহমান, কমলেশ দাস, এরশাদ খান, মো. নুরুল ইসলাম, মো. শাহজাহান খান, মো. ফখরুল ইসলাম, কল্যাণ দাস, সোহেল আহমদ, গবিন্দ্র চন্দ্র দাস, সঞ্জিত কুমার দেব, এস এম হুমায়ুন কবির, শ্রী ডিপজল প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে সিলেট জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সুব্রত চক্রবর্তী জুয়েল বলেন, ২১ আগস্ট ২০০৪ সালে আওয়ামীলীগকে নেতৃত্বশূণ্য করার জন্য গ্রেনেড চালানো হয়েছিল। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট নৃশংস হত্যাকান্ডের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু সহ ১৬জনকে হত্যা করা হেয়ছিল তার নেপথ্য নায়কদের বের করার জন্য তদন্ত কমিশন গঠন করা হোক এবং ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ও ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট এবং ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট এর নেপথ্যকারীদের আইনের আওতায় আনার জন্যও তদন্ত কমিটি গঠন করার আহবান জানান তিনি।
তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের সকল সম্পত্তি রক্ত দিয়ে হলেও রক্ষা করতে হবে। তিনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন বাঙালি জাতির মুক্তির দিশারি। তার ডাকে পাকিস্তানের শোষক গোষ্ঠীর হাত থেকে মুক্তি পেতে জাতি র্ধম-বর্ণ নির্বিশেষে এ দেশের কৃষক-শ্রমিক ও বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে দেশকে স্বাধীন করেছিল। জাতির পিতার আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সকলের প্রতি আহবান জানান তিনি।