বরগুনায় পানির সংকটে কয়েক হাজার পরিবার

প্রকাশিত: ১২:৩৪ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৫, ২০২১ | আপডেট: ১২:৩৪:অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৫, ২০২১

মেঘলা নিউজ ডেস্ক: বিশুদ্ধ পানির উৎসের বেশির ভাগই অকেজো। ফলে শুষ্ক মৌসুমে সুপেয় পানির সংকটে পড়ছেন বাসিন্দারা।

খাবার পানির তীব্র সংকট। তাই সরকারি উদ্যোগে স্বল্প দামে বিক্রি করা হচ্ছে সুপেয় পানি। সম্প্রতি বরগুনার পাথরঘাটার ইউএনওর বাসভবনের সামনে
খাবার পানির তীব্র সংকট। তাই সরকারি উদ্যোগে স্বল্প দামে বিক্রি করা হচ্ছে সুপেয় পানি। সম্প্রতি বরগুনার পাথরঘাটার ইউএনওর বাসভবনের সামনে বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার ৪৬টি গ্রামে খাবার পানির চরম সংকট দেখা দিয়েছে। এলাকাবাসী বলছেন, গ্রামগুলোর বিশুদ্ধ পানির উৎসের বেশির ভাগই অকেজো। ফলে কয়েক বছর ধরেই তাঁরা শুষ্ক মৌসুমে সুপেয় পানির সংকটে পড়ছেন। বারবার জানালেও কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর।

সুপেয় পানির বেশি সংকট উপজেলার ২৫টি গ্রামে। এগুলো হলো উত্তর চরদুয়ানী, দক্ষিণ চরদুয়ানী, গাব্বাড়িয়া, তাফালবাড়িয়া ইকরবুনিয়া, কালিয়ারখাল, চরলাঠিমারা, বাদুরতলা, পদ্মা, রূহিতা, বড় টেংরা, হাজির খাল, ছোট পাথরঘাটা, ঘুটাবাছা, লাকুরতলা, ছোনবুনিয়া, উত্তর কাঁঠালতলী, পরিঘাটা, বকুলতলা, তালুক চরদুয়ানী, কালীবাড়ী, নাচনাপাড়া, ছোট নাচনাপাড়া, মানিকখালী ও উত্তর জ্ঞানপাড়া। এর বাইরে উপজেলার আরও ২১টি গ্রামের বিশুদ্ধ ও সুপেয় পানির মাঝারি মাত্রার সংকট রয়েছে।

চরলাঠিমারা গ্রামের বাসিন্দা সোহরাব হোসেন বলেন, স্থানীয় হরিণঘাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়–সংলগ্ন পুকুরে সৌরশক্তিচালিত দুটি পানির ফিল্টার আছে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে সেগুলো নষ্ট হয়ে রয়েছে। ফলে এই এলাকার মানুষ ওই পুকুরের পানি পরিশোধন ছাড়াই পান করছে। বিষয়টি উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরকে একাধিকবার জানানো হয়েছে, কিন্তু তারা ফিল্টার মেরামতের কোনো উদ্যোগ নেয়নি।

ওই ৪৬ গ্রামে সুপেয় পানিসংকটের বাস্তব অবস্থা তুলে ধরতে সম্প্রতি পাথরঘাটা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন এলাকাবাসী। তাঁদের সহযোগিতা করে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সুশীলন। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, উপজেলার ওই ৪৬ গ্রামে সুপেয় পানির উৎসগুলোর ৬০ শতাংশই এখন অকেজো। এতে বিশুদ্ধ পানির সংকটে রয়েছে কয়েক হাজার পরিবার।

বিজ্ঞাপন
Add Custom Banar 2
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।

Medical add