মোগলাবাজার থানায় মামলা করেও নিরাপত্তাহীনতায় বাদী পরিবার

প্রকাশিত: ১১:৩২ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৯, ২০২১ | আপডেট: ১১:৩২:অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৯, ২০২১

দক্ষিণ সুরমা প্রতিনিধি: দক্ষিণ সুরমা উপজেলার মোগলাবাজারের সিলাম ইউনিয়নের আকিলপুরে জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে এক নিরিহ পরিবারের উপর হামলা চালিয়েছে প্রভাবশালী প্রতিপক্ষ। এতে নারী ও শিশু সহ ৪ জন আহত হয়েছেন। মারাত্মক আহত একজনকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গত সোমবার সকালে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

এ নিয়ে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের মোগলাবাজার থানায় ৫জনকে আসামী করে জুনেদ আহমদের স্ত্রী ঝর্না বেগম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং-৪ । থানায় মামলা হলেও আসামীরা বেপরোয়া । ফলে নিরাপত্তাহীনতায় নিরীহ বাদী পরিবার। মোগলাবাজার থানা এলাকার দালাল ভারতীয় নাসির বিড়ির জনৈক ব্যবসায়ীকে নিয়ে বাদীর বিরুদ্ধে সাজানো মামলা দিতে আসামীরা গভীর রাতে থানায় যায় বলেও অভিযোগ রয়েছে।

জানা যায়, মোগলাবাজার থানার সিলাম ইউনিয়নের আকিলপুর গ্রামের বাসিন্দা ও বঙ্গবীর রোডের জুনেদ মোটর সাইকেল ইজ্ঞিনিয়ারিং ওয়ার্কসপের স্বত্বাধিকারী মোটর সাইকেল মেকানিক জুনেদ আহমদের সাথে দীর্ঘদিন থেকে প্রতিবেশী মৃত ফারুক আহমদের পরিবারের জায়গা জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে মৃত ফারুকের পুত্র মাছুম ও মারুফসহ তাদের সহযোগিরা জুনেদ আহমদ ও বাইরে থেকে আসা আত্মীয় স্বজনকে রাস্তা দিয়ে চলাচলে নিষেধ করে ও তিরস্কার করে। এ নিয়ে এলাকার মুরব্বীয়ানরা সালিশ বৈঠক করেও মাছুমদের পক্ষের লোকদের বেপরোয়া আচরণের কারণে ব্যর্থ হন।

একপর্যায়ে গত ৬ সেপ্টেম্বর সোমবার সকালে জুনেদ আহমদ রাস্তা দিয়ে ভ্যানগাড়ি করে লাকড়ি নিয়ে আসতে চাইলে প্রতিপক্ষ লোকজন তাতে বাধা দেয়। এতে জুনেদ প্রতিবাদ করলে মাছুম (২৩), মারুফ (২৫) জুনেদের ঘরে ঢুকে গালিগালাজ এবং দেশীয় অস্ত্র দিয়ে বেদড়ক মারধর করে রক্তাক্ত জখম করে। এতে জুনেদকে বাঁচাতে তার স্ত্রী শিশু পুত্র ও শিশু কন্যা এগিয়ে এলে তাদেরকেও দেশীয় অস্ত্র ও রোল দিয়ে আঘাত করে জখম করা হয়।

তাদের বেদড়ক পোটানিতে রক্তাক্ত জখম জুনেদ আহমদকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অপর আহতরা হলেন, জুনেদের স্ত্রী ঝর্ণা বেগম, শিশুপুত্র আব্দুর রহমান (৭) ও সুমাইয়া আক্তার বুশরা (১১)। এর আগেও এই প্রভাবশালী আসামীরা জুনেদ আহমদ ও তার স্ত্রীকে মারধোর করে কিন্তু জুনেদ নিরীহ থাকায় কোন সুবিচার পাননি বলে অভিযোগ করেন। বিষয়টি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ গণ্যমান্য ব্যক্তি বর্গকে অবহিত করা হয়েছে।

এ ঘটনায় আহত ঝর্ণা বেগম বাদী হয়ে ৫জনকে আসামী করে মোগলাবাজার থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর ৪। মামলায় আসামী হলেন, মৃত ফারুক আহমদের পুত্র মাছুম, মারুফ, হাসনা বেগম, আলাল ও দুলাল। ঘটনার পর মোগলাবাজার থানা পুলিশের এসআই (নিরস্ত্র) শাখাওয়াত হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেলে পুলিশের সামনে আসামী মাছুম,তারছোট ভাই নাহিদ ও তাদের মা হাসনা বেগম জুনেদের স্ত্রী ঝর্ণা বেগমকে গালি গালাজ করেন।

মোগলাবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ শামসুদ্দোহা পিপিএম বলেন,আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এদিকে আসামীরা গ্রেফতার না হওয়ায় জুনেদ আহমদের পরিবার এই সন্ত্রাসীদের ভয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

বিজ্ঞাপন
Add Custom Banar 2
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।

Medical add