
মেঘলা নিউজ ডেস্ক: রাজশাহীর বাগমারায় নিজ ঘর থেকে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে উপজেলার গুয়াবাড়ি গ্রাম থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। ওই গৃহবধূর নাম শামীমা খাতুন (২৩)। তিনি ওই গ্রামের একরামুল হকের (৩০) স্ত্রী।
এ ঘটনায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলায় গৃহবধূর স্বামীসহ পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার অন্য দুজন হলেন গৃহবধূর শাশুড়ি রেশমা বেগম (৫২) ও ননদের স্বামী সেলিম হোসেন (২৬)। শ্বশুর পলাতক। এদিকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাতটায় গৃহবধূর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
গৃহবধূর মামা রুস্তম আলী অভিযোগ করেন, তাঁর ভাগনিকে যৌতুকের জন্য প্রায়ই শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করা হতো। শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁকে আত্মহত্যায় বাধ্য করেছেন। এ জন্য তিনি থানায় চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
তবে গ্রেপ্তারের আগে একরামুল হক বলেন, তাঁর স্ত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তবে কী কারণে আত্মহত্যা করেছেন, তা তিনি জানেন না।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, একরামুল হকের সঙ্গে ছয় বছর আগে শামীমা খাতুনের বিয়ে হয়। তাঁদের তিন বছরের একটি সন্তান আছে। বিয়ের পর থেকেই শামীমাকে তাঁর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন বিভিন্নভাবে নির্যাতন করে আসছিলেন। গতকাল রাতে শামীমার মেয়ের চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে গিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখেন। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।
বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাক আহম্মেদ গণমাধ্যম কে বলেন, গৃহবধূর মামার করা মামলায় গতকাল রাতেই তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ তাঁদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।