শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে সিলেট নগরীতে মানববন্ধন

প্রকাশিত: ৪:৫৪ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২, ২০২১ | আপডেট: ৪:৫৪:অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২, ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর আমীর মুফতি সৈয়দ মোহা. রেজাউল করীম, পীর সাহেব চরমোনাই ঘোষিত২ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দেশব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচির অংশ হিসেবে নগরীর কোর্ট পয়েন্টে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সিলেট জেলা ও মহানগর এর বিশাল মানববন্ধন অনুষ্টিত হয়েছে।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সিলেট মহানগর সভাপতি আলহাজ্ব নযীর আহমদ এর সভাপতিত্বে এবং জেলা সেক্রেটারী আলহাজ্ব হাফেজ মাও. ইমাদ উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্টিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক প্রফেসর ডা. মোয়াজ্জেম হোসেন খান। উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেজ মাও. মাহমুদুল হাসান, সিলেট জেলা সভাপতি মুফতী সাঈদ আহমদ, সহ সভাপতি মাও. আমীর উদ্দিন, মহানগর সহ সভাপতি ডা. রিয়াজুল ইসলাম, হাফেজ মাওলানা আসআদ উদ্দীন, জয়েন্ট সেক্রেটারী হাফেজ মাও. আব্দুস শহীদ, সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেজ মাও. মতিউর রহমান খান, প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক মাও. রবিউল ইসলাম খান, প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক হাফিজ নোমান আহমদ ফাহাদ, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন সিলেট মহানগর সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান, জেলা সাধারণ সম্পাদক মুহা. নুরুল আমীন, ইসলামী যুব আন্দোলন সিলেট মহানগর সভাপতি মাও. জহিরুল ইসলাম, জেলা সহ সভাপতি জাকির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসাইন, ইশা ছাত্র আন্দোলন সিলেট জেলা সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাধারণ সম্পাদক মকবুল হোসাইন, মহানগর সহ সভাপতি আব্দুল্লাহ আরাফাত প্রমুখ।
মানববন্ধনে নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশের সবকিছু স্বাভাবিক গতিতে চললেও শুধুমাত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে আগামী প্রজন্মকে ধ্বংসের চক্রান্ত করা হচ্ছে। বিশ্বের যে সকল দেশে করোনা মহামারি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে সে দেশগুলোতেও ইতোমধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হয়েছে। আমাদের দেশেও বিশেষজ্ঞগণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার পরামর্শ দিয়ে আসছেন। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে সরকারের কাছে বারবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবি জানিয়ে আসছে। এখন দেশের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে আমরা রাজপথে নেমে এসেছি।
বক্তারা বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার ফলে শিক্ষার্থীরা নানা অপরাধমুলক কাজে জড়িয়ে যাচ্ছে, বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত হচ্ছে। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনলাইন গেইম আসক্তি বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার ফলে দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম মেধাহীন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বক্তারা বলেন, সরকার আন্দোলনের ভয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার ব্যপারে বার বার সময়ক্ষেপন করছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলার ব্যপারে সরকারের তালবাহানা মেনে নেয়া যায়না, অনতিবিলম্বে সকল শিক্ষা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিতে হবে।

নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে ‘ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান স্থাপনে সরকারের অনুমতি প্রয়োজন’ মর্মে উত্থাপিত প্রস্তাব প্রত্যাহার করার জন্য আমরা দাবি জানাচ্ছি।

তারা বলেন, এতে নতুন মসজিদ-মাদরাসা প্রতিষ্ঠার পথ চরমভাবে সংকুচিত হবে। দেশকে ইসলামশূণ্য করার অংশ হিসেবেই এধরণের আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এধরণের যে কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণের চেষ্টা করলে ঈমানদার জনতা নিরবে বসে থাকবে না।

বিজ্ঞাপন
Add Custom Banar 2
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।

Medical add