সিলেটে জমি দখল নিয়ে স্বজনদের হয়রানির শিকার এক সরকারি কর্মকর্তা

প্রকাশিত: ১০:১৮ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৭, ২০২১ | আপডেট: ১০:১৮:অপরাহ্ণ, আগস্ট ৭, ২০২১

মেগলা নিউজ ডেস্ক: সিলেট নগরীর শেখঘাট এলাকার ১৭৯ নম্বর বাসার বাসিন্দা, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন ও তার পরিবারকে তারই স্বজনরা নানাভাবে হয়রানি করছেন।

আজ শনিবার (০৭ আগষ্ট)  সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন, মৃত মোহাম্মদ জহুর উদ্দিনের ছেলে দেলোয়ার হোসেন।

তার অভিযোগ, জায়গা জমি দখল করতেই স্বজনরা দীর্ঘদিন ধরে তাকে ও তার পরিবারকে হয়রানি করে আসছেন। তিনি তার মৌরসী ও ক্রয়কৃত জায়গা জমি এবং জানমাল রক্ষায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সংশিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।

লিখিত বক্তব্যে দেলোয়ার হোসেন উল্লেখ করেন, তিনি তার মা, ভাই-বোন ও সন্তান নিয়ে শেখঘাটে ১৭৯ নম্বর বাসায় বসবাস করেন। তার অন্যান্য ভাই-বোন বিদেশে ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত থাকায় অন্যত্র বসবাস করছেন। এই সুযোগে তার চাচাতো ভাই শওকত আলী বেলাল, হুমায়ুন কবির ও বাবলু আহমদসহ অন্যরা তার মৌরসী ও ক্রয়কৃত জায়গাজমি দখল করতে উঠেপড়ে লেগেছেন।

তিনি জানান, মিউনিসিপ্যালিটি মৌজার জেএল নং-৯১, খতিয়ান নং-৬১৯ ও ২২৯১ নং দাগে ২২ শতক পুকুর রকম ভূমি রয়েছে। ২০১৭ সালে বাটোয়ারার পর মৌরসী ও উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্য জমি তিনি সমঝে পান। এরপর তিনি তার অংশে মাটি ভরাট করে টিনের বেড়া দিয়ে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করেন।

অন্য অংশিদাররাও তাদের অংশে মাটি ভরাট করেন; কিন্তু ২০১৯ সালে শওকত আলী বেলাল, হুমায়ুন কবির ও বাবলু আহমদসহ আরও ৩/৪ জন সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে অবৈধভাবে করে দেলোয়ার হোসেনকে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করেন। এ ঘটনায় জিডি করেন দেলোয়ার হোসেন। তার বিরুদ্ধেও পাল্টা আরেকটি জিডি করা হয়।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ২০১৯ সালের ২৬ অক্টোবর স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর সিকন্দর আলী ও শেখঘাট পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি শফিক উদ্দিনসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে সালিশ আহবান করা হয়; কিন্তু শওকত আলী বেলাল নিজে একটি সালিশনামা তৈরি করে তাতে স্বাক্ষরের জন্য চাপ সৃষ্টি করেন। ফলে সমঝোতা হয়নি।

গত ২৪ জানুয়ারি শওকত আলী বেলাল ও তার লোকজন দেলোয়ার হোসেনের বাড়িতে হামলা ও লুটপাট করে। ৯৯৯ সেন্টারে ফোন করার পর কোতোয়ালি থানা পুলিশ তাদেরকে উদ্ধার করে। পরবর্তী সময়ে ৩ ফেব্রুয়ারি অতিরিক্ত মূখ্য মহানগর হাকিম আদালতে মামলা করেন দেলোয়ার হোসেন।

বিবাদি শওকত আলী বেলালের ভাই হুমায়ুন রশিদ রুবেলও গত ২২ ফেব্রুয়ারি অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগে মামলা করেন। এছাড়া একাধিক মামলা দিয়ে তারা দেলোয়ার হোসেন ও তার পরিবারকে হায়রানি করছে বলে অভিযোগ করে তিনি শান্তিপূর্ণ বসবাসের জন্য তার চাচাত ভাইদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

বিজ্ঞাপন
Add Custom Banar 2
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।

Medical add