
প্রেস বিজ্ঞপ্তি: নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করে মানসিক চাপ ও হুমকীর মুখে পড়েছেন সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ উপজেলার ফুলবাড়ি পূর্বপাড়ার প্রবাস ফেরত স্বামী আখলিছ উদ্দিনের স্ত্রী বেদানা বেগম (৪২)। বর্তমানে তিনি সিলেট নগরীর এয়ারপোর্ট থানার বাদামবাগিচা এলাকায় পিত্রালয়ে আশ্রয় নিয়েছেন।
বেদানা বেগমের লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, তার স্বামী আখলিছ উদ্দিনের অনুপস্থিতিতে ভাসুর চান মিয়া বিভিন্ন সময় বেদানা বেগম ও তার সন্তানদের নির্যাতন-অত্যাচার করতেন। এতে চান মিয়া বেদানা বেগমের স্বামী আখলিছ উদ্দিনের মধ্যে পারিবারিক কলহ-বিরোধ সৃষ্ট করে দিয়ে অর্থ সম্পদ আত্মসাৎ করতে এরূপ বিবাদ লাগিয়ে দেন।
কুয়েত প্রবাসী আখলিছ উদ্দিন দেশে আসার পর চান মিয়া নানা কুপ্ররোচনা দিয়ে আখলিছ উদ্দিনকে বেদানা ও সন্তানদের বিরুদ্ধে বিগরে দেন। এক পর্যায়ে আখলিছ উদ্দিন স্ত্রী বেদানা বেগমকে তার পিত্রালয় থেকে কয়েক লাখ টাকা এনে দেয়ার প্রস্তাব দেন। টাকা না দেওয়ায় আখলিছ উদ্দিন সহ তার ভাই-ভাতিজা মিলে বেদানা ও তার দু’সন্তানকে মারপিট করে বাড়ী থেকে বের করে দেন। এই বিরোধের মধ্যে পড়ে তাদের দু’টি সন্তান গোলাপগঞ্জ সদরের একটি স্কুলে পড়ালেখা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।
গত ১২ আগস্ট বেদানা বেগম বাদী হয়ে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ফুলবাড়ি পূর্বপাড়ার মৃত হামিদ আলীর পুত্র আখলিছ উদ্দিন ও চান মিয়া, চান মিয়ার ছেলে শাহীন আহমদ ও স্ত্রী আফছারা বেগমকে বিবাদী করা হয়েছে। থানা মামলা রেকর্ডের পর সংশ্লিষ্ট তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্তকালে ঘটনার সত্যতা পান। মামলা নং- ২০/২২৭।
ফলে বিবাদীরা পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে আদালত থেকে আগাম জামিন নিয়ে বাদী বেদানা বেগমকে মামলা প্রত্যাহার করে নিতে দুশ্চরিত প্রকৃতির ব্যক্তিদের দিয়ে নানা ধরনের চাপ-হুমকী অব্যাহত রাখছেন। গোলাপগঞ্জ মডেল থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা বিবাদীদের সময়মত গ্রেফতার না করায় বিবাদীরা বেদানার জীবনকে বাধাগ্রস্ত করে ফেলছে। বিবাদীদের আগাম জামিনের মেয়াদ শেষ হলেও তারা প্রকাশ্যে ঘুরা ফেরা করছে। পুলিশ রহস্যজনক কারনে তাদেরকে গ্রেফতার করছে না।
বেদানা বেগম সিলেট বিভাগীয় কমিশনার বরাবর একটি দরখাস্তে এসব অভিযোগ উল্লেখ করেছেন। গত ২১ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বেদানা বেগম মামলার বিবাদীদের হুমকী-ধমকী, ভয়-ভীতি জীবন বাধা বিপত্তিতে উদ্বিগ্ন আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে এসএমপির এয়ারপোর্ট থানায় বিবাদী আখলিছ উদ্দিন, চান মিয়া ও শাহীন আহমদের নাম উল্লেখ করে একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। ডায়েরী নং- ১০১৬।