
স্টাফ রিপোর্টার: সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের দক্ষিণ সুরমা উপজেলা কমিটির উদ্যোগে ১৭ অক্টোবর শনিবার বিকাল ৪ টায়, কীনব্রীজ দক্ষিণ মুখে জমায়েত হয়ে এক বিক্ষোভ মিছিল নগরীর গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা প্রদক্ষিণ করে বাবনা পয়েন্ট, পুরাতন রেলগেইট, বাসটার্মিনাল, কদমতলী পয়েন্ট অতিক্রম করে হুমায়ুন রশিদ চৌধুরী চত্বরে সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন এর সভাপতি মোঃ ছাদেক মিয়ার সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মোঃ আনছার আলীর পরিচালনায় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ সিলেট জেলা শাখার যুগ্ম সম্পাদক রমজান আলী পটু, জাতীয় ছাত্রদল সিলেট জেলার অন্যতম নেতা শুভ আজাদ, সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন এর উপদেষ্টা মোঃ আনু মিয়া, দপ্তর সম্পাদক বদরুল আজাদ, ওসমানীনগর উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আমিন তালুকদার, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা কমিটির সভাপতি মোঃ মনির হোসেন, শাহপরান থানা কমিটির সহ-সভাপতি জয়নাল মিয়া, বাবনা আঞ্চলিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক মুমিন মিয়া, চন্ডিপুল আঞ্চলিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ সুনু মিয়া সাগর, হুমায়ুব রশিদ চত্বর আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি মোঃ বিল্লাল মিয়া, কদমতলী আঞ্চলিক কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ রাসেল, তালতলা আঞ্চলিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আক্তার হোসেন, বন্দর বাজার আঞ্চলিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলম, আম্বরখানা আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি রাশেদ আহমদ সহ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, হোটেল সেক্টর বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ শ্রমিক সেক্টর কিন্তু হোটেল শ্রমিকদের নেই নিম্নতম মূল মজুরি, নেই নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র, সার্ভিসবুক, এমনকি থাকা খাওয়ার নিশ্চয়তাটুকুও নেই। বক্তারা হোটেল সেক্টরে নিম্নতম মূল মজুরি ২০ হাজার টাকা ঘোষণা ও শ্রম আইন বাস্তবায়নের জোর দাবি জানান।
বর্তমান বাজারদরে কথা বলতে গিয়ে বলেন, করোনা মহামারীর মধ্যে সরকারের দায়িত্ব হলো দ্রব্য মূল্যের ভর্তুকি প্রদান করা, কিন্তু তা না করে দফায় দফায় লাগামহীন ভাবে চাল, ডাল, তেল, পিয়াজ চিনিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম লাগামহীন ভাবে বেড়ে যাচ্ছে। তার সাথে পাল্লা দিয়ে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করেছে কয়েক দফা। ১২ লিটার সিলিন্ডারের দাম বেড়েছে প্রায় ২৫০ টাকারও বেশি। যায় দায়ভার বহন করতে হচ্ছে এবং হবে জনগণকে। কৃষি মৌসুম শুরু হওয়ার পূর্বেই সার, ডিজেলের দামও অনিশ্চয়তার দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
ক্ষমতাসীন ও তাদের আর্শীরবাদ পুষ্টদের ব্যাপক দুর্নীতি ও লুটপাটের কারণে জনগণের পকেট কেটে টাকার পাহাড় তৈরি করার মধ্যে বৈষম্য আরো বেড়ে যাচ্ছে।এক দিকে দরিদ্রদের সংখ্যা বাড়ছে অপর দিকে কোটিপতির সংখ্যা বাড়ছে। জনগণের মধ্যে ক্ষোভও বাড়ছে। ই-ভ্যালি, ই-কমার্স, ই-রিং বিভিন্ন নামে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করে নিচ্ছে আর সরকার নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে।
সরকার কৃষক, শ্রমিক, জনবান্ধব মুখে বুলি বললেও শ্রমিক-কৃষক, ছাত্র-জনগণের পক্ষে কোন ভূমিকা গ্রহন করছেনা।বক্তারা আরো বলেন, অনতিবিলম্বে গ্যাসের দাম কমানো, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কমিয়ে প্রয়োজনবোধে ভর্তুকি প্রদান করে জনগণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনতে হবে এবং শ্রমিকদের রেশনিং এর ব্যবস্থা করতে হবে।