
প্রেস বিজ্ঞপ্তি: মামলার সাক্ষী হওয়ায় সিলেট সদর উপজেলার বৃহত্তর আখালিয়া এলাকার জালালী আবাসিক এলাকা, মোহাম্মদী আবাসিক এলাকা দুসকী ও উপরপাড়াসহ আশপাশ এলাকার বাসিন্দারা হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন।
মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন তারা। সংবাদ সম্মেলনে শহরতলির মোহাম্মদী আবাসিক এলাকার আলম মিয়ার পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপরপাড়ার সোহেল মিয়া।
লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, সত্য ঘটনার সাক্ষী হওয়ায় বৃহত্তর আখালিয়া এলাকার জালালী আবাসিক এলাকা, মোহাম্মদী আবাসিক এলাকা দুসকী ও উপরপাড়াসহ আশপাশ এলাকার সাধারণ মানুষদের হয়রানি করছেন রাবেয়া বেগম, তার স্বামী ইউসুফ আলী, ছেলে ইকরাম ও ইমন, মেয়ের জামাই ইমরান, রাবেয়ার সহযোগী মোহাম্মদী আবাসিক এলাকা দুসকীর বশির উদ্দিন, তার স্ত্রী ছালেহা, তাদের ২ ছেলে জাফর ও জায়েদ।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, এ চক্রের সদস্যদের মধ্যে রাবেয়া সিলেট নগরের বিভিন্ন বাসার ঠিকানা ব্যবহার করে এলাকার বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা করে যাচ্ছেন। রাবেয়া কখনো দরগা মহল্লার পায়রা ২৫ নম্বর বাসা, কখনো রাজারগলির ৮৪ নম্বর বাসা, পায়রা ১৬ নম্বর বাসা আবার কখনো বাদাম বাগিচার তরঙ্গ ৪/১৬ নম্বর বাসার ঠিকানা ব্যবহার করে মামলা করেছেন। কোথাও আবার রাবেয়া ও তার পরিবারের লোকজন মোহাম্মদী আবাসিক এলাকার ঠিকানাও ব্যবহার করেন।
চুরির মামলায় জেলখাটা আসামি রাবেয়া ও তার পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে সিলেট মহানগর পুলিশের এয়ারপোর্ট ও জালালাবাদ থানায় চুরি, ছিনতাইসহ শিশু অপহরণের ডজন খানেক মামলা ও জিডি রয়েছে। এর সবগুলোই চার্জশিট ও প্রসিকিউশন দিয়েছে পুলিশ ও পিবিআই।
এছাড়া রাবেয়ার সহযোগী মোহাম্মদী আবাসিক এলাকার বশির উদ্দিন ও তার পরিবারের লোকজন বিভিন্ন মামলা দিয়ে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করছে। সর্বশেষ টিলা কাটার অভিযোগে জালালাবাদ থানা পুলিশ তাকে আটক করে। পরে পরিবেশ অধিদপ্তর বড় অংকের জরিমানা করে তাকে।
লিখিত বক্তব্যে আরও উল্লেখ করা হয়, মোহাম্মদী আবাসিক এলাকা দুসকীতে সিলেট নগরীর সুবিদবাজারের সমাজসেবী ও রাজনীতিবিদ নাহিদা আক্তার চৌধুরীর বেশকিছু ভূমি রয়েছে। এ ভূমিতে ঘর তৈরি করে কিছু মানুষকে থাকতে দিয়েছেন তিনি। এদের মধ্যে অন্যতম বশির উদ্দিন ও রাবেয়ার পরিবার। কিন্তু নাহিদা আক্তার চৌধুরীর অনুগ্রহ পেয়ে কৃতজ্ঞতার বদলে বশির উদ্দিন ও রাবেয়া জোট বেঁধে জায়গা আত্মসাতের ষড়যন্ত্রে মেতে ওঠে।
তারা অবৈধভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহার, ভূমি দখল করতে থাকে। এর জের ধরে নাহিদা আক্তার চৌধুরী নিজের ভূমিতে গেলে অপমান, অপদস্থ ও হামলার চেষ্টা করে। এ নিয়ে ভূমি মালিক নাহিদা আক্তার চৌধুরী থানায় একাধিক মামলা করেন। এ মামলাগুলোতে এলাকার যারা সাক্ষী হয়েছেন, তাদের আসামি করে কখনো রাবেয়া বাদী হয়ে কখনো বশির উদ্দিনের স্ত্রী বাদী হয়ে সাক্ষীদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। সব মামলাই তদন্ত শেষে ফাইনাল রিপোর্ট দিয়েছে পুলিশ।
তারপরও থেমে নেই রাবেয়া বেগম ও বশির উদ্দিন চক্র। সর্বশেষ গত বছর সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে রাবেয়া বেগম বাদী হয়ে তার পুত্রবধূ নির্যাতনের কথিত কাহিনী দিয়ে সিলেট নগরের সুবিদবাজার বনকলাপাড়ার শহিদুল ইসলাম ওরফে মায়াত আলীর ছেলে মো. রুবেল আহমদ, মোহাম্মদী আবাসিক এলাকার মৃত হানিফের ছেলে আলম মিয়া, মৃত বদর উদ্দিনের ছেলে মো. মুসলিম উদ্দিন, মৃত আবদুল মতলিবের ছেলে মো. গিয়াস উদ্দিন ও উপরপাড়ার মৃত নুর মিয়ার ছেলে মো. সুহেল আহমদকে আসামি করে মামলা করেন। এ মামলায় আমরা গত ৬ অক্টোবর আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন আসামিরা।
এ চক্রের হয়রানি থেকে বাঁচতে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও সিলেট মহানগর পুলিশ কমিশনারের সহযোগিতা কামনা করেছেন এলাকাবাসী।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, সিলেট সদর উপজেলার টুকেরবাজার ইউনিয়নের মোহাম্মদী আবাসিক এলাকার আলম মিয়া, মো. মুসলিম উদ্দিন, নগরের জালালিয়া আবাসিক এলাকার মো. জাহিদ মৃধা প্রমুখ।