
নিজস্ব প্রতিবেদক: সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার লালাবাজারে মহাসড়কের পাশে অল্প বৃষ্টিতেই পানি জমে যায়। নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় রাস্তার অর্ধেকজুড়ে পানি জমে নোংরা হয়ে দীর্ঘদিন থেকে জনভোগান্তি চরমে।
সড়কের পাশে ড্রেন স্থাপন করে মানুষকে ভোগান্তি থেকে বাঁচাতে ৩ মাস আগে সড়ক ও জনপথ বিভাগে লিখিতভাবে আবেদন করেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও এলকাবাসী। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে- এখনও অর্থ বরাদ্দ না হওয়ায় কাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি।
দক্ষিণ সুরমা উপজেলার লালাবাজারে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা নেই। মহাসড়কের পূর্বপাশে একটি ড্রেন থাকলেও বাজারের পাশে দিয়ে যাওয়া খাল পর্যন্ত না নেওয়ায় সেটি এখন অকার্যকর। এর ফলে অল্প বৃষ্টিতেই পানি জমে ডুবে যায় রাস্তার অর্ধেক। সে পানি নিষ্কাশন না হওয়ার ফলে দীর্ঘদিন জমে জমে নোংরা হয় এবং এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন স্থানীয় ব্যবসায়ী, বাসিন্দা ও এ সড়কে প্রতিদিন চলাচলকারী হাজার হাজার মানুষ। সড়কের অর্ধেক পর্যন্ত পানি থাকায় স্বাভাবিক যান চলাচল বিঘ্নিত হয় এবং জনব্যস্ত এ বাজারে প্রায়ই ঘটে ছোট-বড় দুর্ঘটনা।
এছাড়াও লালাবাজারে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে এসে যুক্ত হওয়া বাহাপুর গ্রামের সড়ক ও ইউনিয়ন অফিসের সড়কেও নেই ড্রেনেজ বা পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা। তাই বৃষ্টিতে এ সড়কে চলাচলকারীদেরও ভোগান্তি পোহাতে হয়।
এ দুর্ভোগ থেকে পরিত্রাণের লক্ষ্যে এলাকাবাসীর পক্ষে গত জুন মাসে লালাবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও লালাবাজার ব্যবস্থাপনা কমিটি এবং ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি পীর মো. ফয়জুল হক ইকবাল সড়ক ও জনপথ সিলেট বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবরে লিখিত আবেদন জানিয়েছিলেন।
আবেদনে লালাবাজার বাজারের পূর্বপাশের বাহাপুর গ্রামের শেষ প্রান্তের মাদরাসা ও ইউনিয়ন অফিসের রাস্তার মুখ হতে বাজারের উত্তরপাশের নদী পর্যন্ত প্রায় ১ কিলোমিটার রাস্তার পাশে ড্রেনেজ ব্যবস্থা করে দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করে দেয়ার জন্য শীঘ্রই কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়। কিন্তু সে আবেদনের পর ৩ মাস পেরিয়ে গেলেও কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি সড়ক ও জনপথ বিভাগ।
এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগ সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মুস্তাফিজুর রহমান শনিবার (২ অক্টোবর) বলেন, ৩ মাস আগে আবেদন পেলেও সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে কাজের অনুমোদন পেতে কিছুটা দেরি হয়ে গেছে। আবেদন পাওয়ার পরই আমি স্ট্যাটমেন্ট প্রস্তুত করে ঢাকায় প্রেরণ করেছি। কাজের অনুমোদনও মিলেেছে। শুধু অর্থ বরাদ্দটা বাকি। আশা করছি কিছুদিনের মধ্যেই অর্থ বরাদ্দ হয়ে যাবে এবং কাজ শুরু করতে পারবো।