১০ যুবলীগ নেতা-কর্মীকে পেটালেন মেয়র তাহেরের ছেলে

প্রকাশিত: ৮:১৫ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২১ | আপডেট: ৮:১৫:অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২১

মেঘলা নিউজ ডেস্ক: লক্ষ্মীপুর জেলা যুবলীগের বর্ধিত সভা উপলক্ষে কেন্দ্রীয় নেতাদের শুভেচ্ছা জানাতে অপেক্ষা করার সময় যুবলীগের ১০ নেতা-কর্মীকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। খোদ জেলা যুবলীগের সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম সালাহ উদ্দিন ও তাঁর অনুসারীদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ।

আজ (২১ সেপ্টেম্বর) মঙ্গলবার স্থানীয় সময় দুপুর সাড়ে ১২টায় পৌরসভার গণকবর ও জেলেপল্লি এলাকার সড়কে এ ঘটনা ঘটে। সালাহ উদ্দিন লক্ষ্মীপুর পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের আলোচিত সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু তাহেরের ছেলে। তবে সালাহ উদ্দিন মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেন।

দলীয় সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরে শহরের একটি রেস্তোরাঁয় জেলা যুবলীগের বর্ধিত সভায় যোগ দিতে কেন্দ্রীয় নেতাদের ঢাকা থেকে রামগঞ্জ হয়ে লক্ষ্মীপুরে আসার সূচি নির্ধারিত ছিল। এ জন্য অন্তত ১০ জন সাবেক যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতা কেন্দ্রীয় নেতাদের বরণ করতে দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে রামগঞ্জ-লক্ষ্মীপুর সড়কের পাশে দাঁড়ান। এ সময় যুবলীগ সভাপতির নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়।

হামলায় জেলা যুবলীগের সম্ভাব্য সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নুরুল আজিমসহ ১০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। সৈয়দ নুরুল আজিম বলেন, পরিকল্পিতভাবে তাঁদের ওপর হামলা হয়েছে। সালাহ উদ্দিনের নেতৃত্বে ১০ থেকে ১৫ জন মোটরসাইকেলে এসে এ হামলা চালান।

তবে সালাহ উদ্দিন বলেন, নুরুল আজিমের সঙ্গে তাঁর বাদানুবাদ হয়েছে। কাউকে মারধর করা হয়নি। নুরুল আজিম মিথ্যাচার করছেন।

হামলায় আহত অন্য ব্যক্তিরা হলেন সদর (পূর্ব) থানা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক রূপম হাওলাদার, কর্মী আবদুল মতিন, মো. তারেক, মো. জামাল উদ্দিন, আবদুল হাশেম, খুরশিদ আলম, আবুল কাশেম, মো. সবুজ ও মনির হোসেন। আহত ব্যক্তিরা সদর হাসপাতাল ও স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছেন।

নুরুল আজিম আগে তাহের পরিবারের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও আইনজীবী নুরুল ইসলাম হত্যা মামলার আসামি ছিলেন নুরুল। ওই মামলায় মেয়র তাহেরের বড় ছেলে এ এইচ এম বিপ্লবও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হন। পরে তাঁদের সাজা মওকুফ করা হয়। নুরুল নিজেকে জেলা যুবলীগের সম্ভাব্য সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ঘোষণা করলে তাঁদের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়।

এদিকে পূর্ণাঙ্গ কমিটি না থাকা ও বিভিন্ন ব্যর্থতার অভিযোগে কেন্দ্রীয় যুবলীগের নির্দেশে আজ জেলা যুবলীগের বর্ধিত সভা চলছে। এবারের বর্ধিত সভা নিয়ে গুঞ্জন রয়েছে, জেলা যুবলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে অব্যাহতি দেওয়া হতে পারে। ইতিমধ্যে পদপ্রত্যাশীরা শহরে শুভেচ্ছা জানিয়ে ব্যানার ও ফেস্টুন টাঙিয়েছেন।

লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শিপন বড়ুয়া বলেন, অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে শহরজুড়ে পুলিশ সতর্ক রয়েছে। মারধরের ঘটনায় কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিজ্ঞাপন
Add Custom Banar 2
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।

Medical add